Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

Title
.
Details

আগামী ২৩/০৪/২৩ থেকে ০৩/০৫/২৩ পর্যন্ত টানা ১১ দিন ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ তাই হাওরে ধান কাটতে কৃষকদের অনুরোধ করা হচ্ছে ।

সিলেট অঞ্চলের বিস্তীর্ণ হাওরজুড়ে শোভা পাচ্ছে সোনালি ধানের সমারোহ। বৈশাখের শুরুতেই হাওরের একমাত্র ফসল বোরো ধান কাটা পুরোদমে শুরু হয়েছে। ফলে ধান কাটা ও ঘরে তোলা নিয়ে চলছে উৎসবের আমেজ। এতে কৃষকের পাশাপাশি সমান তালে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষাণীরা।

গত কয়েক বছর ধরে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অতিবর্ষণে সিলেট অঞ্চলের কৃষকদের বেশির ভাগ জমির বোরো ধান তলিয়ে গেছে। এবার বন্যার আশঙ্কায় জেলার হাওরের বোরো ধান কেটে ঘরে তুলতে প্রচারণা চালাচ্ছে কৃষি বিভাগ।

মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) পর্যন্ত জেলার অনেক এলাকায়  ক্ষেতের বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে শতভাগ ধান কাটার কথা জানায় কৃষি বিভাগ।

আবহাওয়া বিভাগের বরাতের জানা গেছে, আগামী ২৩ এপ্রিল থেকে ৩ মে পর্যন্ত ভারতের মেঘালয় রাজ্যের চেরা পুঞ্জিতে টানা ১১ দিন ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময়ে কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিসহ ভারী বৃষ্টিপাতে হাওরাঞ্চলে আগাম বন্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই দ্রুত হাওরের পাকা ধান কেটে ফেলতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানায়, জেলায় বেশির ভাগ জমিতে বোরো আবাদ করা হয়। এর মধ্যে হাওরে দুই-তৃতীয়াশং জমি রয়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে এসব ক্ষেতের পাঁকা ধান কাটতে শুরু করেন কৃষকেরা। এবার এখন পর্যন্ত হাওরে পানি না আসায় কৃষকেরা স্বস্তিতে ধান কাটছেন। শ্রমিকদের পাশাপাশি কম্বাইন্ড মেশিনের সাহায্যে ধান কাটা হচ্ছে।

জকিগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী ২৩ এপ্রিলের মধ্যে পাকা ধান কাটা না হলে পাকা ফসল ঝুঁকিতে পড়বে। বন্যা হলে হয়তো ফসল রক্ষা বাঁধের কারণে কয়েক দিন পানি আটকানো সম্ভব হবে। তবে শিলাবৃষ্টি হলে তো সর্বনাশ।’

তিনি আরও বলেন, ‘হাওরে পর্যাপ্ত ধান কাটার মেশিন রয়েছে। কৃষকেরা চাইলে দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে সব ধান কেটে ফেলতে পারেন। তবে, স্থানীয় জনপ্রতিনিধী ও মাইকিং করার মাধ্যমে কৃষকদের ধান কাটতে আরও তৎপরতা বৃদ্ধি করার পরামর্শ দেন।


Attachments
Image
Publish Date
19/04/2023
Archieve Date
03/05/2023