চলছে তাপদাহ....যা আগামী ৪-৫ দিন অব্যাহত থাকবে বলে পূর্বাভাস রয়েছে। এ সময় দিনের তাপমাত্রা ৩৫-৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, এমনকি বেশিও বিরাজ করতে পারে।
তাই, বোরো ধানে চাষে নিম্মলিখিত বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখতে হবে....
১) হিটশক বা হিট ইনজুরিঃ
===================
বৃষ্টিহীন গরম ঝড়ো বাতাসে দেশের অনেক জায়গায়ই ফুল আসা ধান হিট শক/হিট ইনজুরিতে পড়ে চিটা বা শিষ সাদা হয়ে যেতে পারে। এ সময় বোরো ধানের যে সকল জাত ফুল ফোটা পর্যায়ে আছে বা এখন ফুল ফুটছে বা সামনে ফুল ফুটবে সে সকল জমিতে পানি ধরে রেখে ধানের ফুল ফোটা পর্যায়ে হিট শক/ হিট ইনজুরি থেকে রক্ষার পরামর্শ দেওয়া হলো।
২) গরম বা উচ্চ তাপমাত্রাঃ
===================
দিনের তাপমাত্রা হলো ৩৫° সেলসিয়াস বা তার বেশি। ফুল ফোটার সময় (সকাল ৭.০০ টা থেকে ১১.৩০ টা পর্যন্ত) যদি ১-২ ঘণ্টা ঐ তাপমাত্রা বিরাজ করে তাহলে ধান চিটা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
৩) গরম বাতাস বা লু হাওয়াঃ
=====================
প্রচণ্ড ঝড়ো বাতাস বা গরম বাতাসের কারণে গাছ থেকে পানি প্রস্বেদন প্রক্রিয়ায় বেরিয়ে যায়। এতে ফুলের অঙ্গগুলোর গঠন বাধাগ্রস্ত হয়। আবার ঝড়ো বাতাস পরাগায়ন, গর্ভধারণ ও ধানের মধ্যে চালের বৃদ্ধি ব্যাহত করে। এতে ধানের সবুজ খোসা খয়েরি বা কালো রঙ ধারণ করে। ফলে ধান চিটা হয়ে যেতে পারে।
৪) খরা: খরার কারণে শিষের শাখা বৃদ্ধি ব্যাহত হয় এবং বিকৃত ও বন্ধ্যা ধানের জন্ম দেয়ায় চিটা হয়ে যায়।
🌾করণীয়ঃ 🌾
==========
প্রচণ্ড গরম ও ঝড়ো বাতাসের কারণে কোথাও ধান চিটা হতে দেখা গেলে-
১। হিটশক থেকে বোরো ধান রক্ষা করতে জমিতে ৫-৭ সে.মি. বা ২-৩ ইঞ্চি পানি কাইচ থোড় থেকে ফুল ফোঁটা পর্যন্ত ধরে রাখুন।
২। এমওপি সার ১০ লিটার পানিতে ১০০ গ্রাম মিশিয়ে ৫ শতাংশ হিসেবে স্প্রে করুন
অথবা
৩। বিঘা প্রতি ৫ কেজি হিসেবে দানাদার এমওপি সার উপরিপ্রয়োগ করুন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস